মিরপুর ০৮:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগরতলায় আওয়ামী লীগ সমাবেশ করতে পারবেন কিনা?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩২:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ৪ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজনৈতিক প্রাঙ্গনে এখন হাইপ চলছে যে বিষয়টি নিয়ে সেটি হচ্ছে আগরতলায় আওয়ামী লীগ সমাবেশ করতে পারবেন কিনা। আর এই কথাটি গুজব নাকি সত্য তা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্পর্কে। কেননা ইতিমধ্যে এই বিষয় নিয়ে প্রচুর পরিমাণে কথা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতে এবং বাংলাদেশ সহ ভারতে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের শক্তিশালী ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পতন ঘটে। মূলত কোটা সংস্করণ আন্দোলনের মাধ্যমেই এই সরকারের পতন হয়। কেননা এই আন্দোলন করতে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থী আহত নিহত হয়েছেন তাদের হাতে। সাধারণ মানুষের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আর কারণে তাদের দাবি চূড়ান্তভাবে রুপ নেয় এক দফা দাবি।

আর এই দাবিটি হচ্ছে শেখ হাসিনার পদত্যাগ। যদিও তাদের অসহযোগ আন্দোলন ছিল ৬ তারিখে অর্থাৎ ৬ আগস্ট। কিন্তু সেটি এগিয়ে এনে পাঁচ আগস্ট এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আর সেদিনই শুরু হয় লংমার্চ টু ঢাকা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোক আসতে শুরু করে সকাল থেকেই। ভিডিও এ সময় দেওয়া হয়েছিল কারফিউ। তবে সে বিষয়টি তোয়াক্কা না করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসতে শুরু করে। আর এর সময় ঢাকার মূল কেন্দ্রে তারা অবস্থান করেন।

এরপর জাতীয় সংসদ ভবনের দিকে এগিয়ে যায়। ঠিক দুপুরের দিকে শোনা যায় আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। সারা দেশ জুড়ে উচ্ছ্বাস পালন করা হয়। তার কয়েক দিনের পরে জানা যায় তিনি ভারতে অবস্থান করছেন।

আওয়ামী লীগ আগরতলায় সত্যিই কি সমাবেশ করতে পারবে?

এখন এই প্রশ্নটিই ঘুরপাক খাচ্ছে। তার পদত্যাগের পরে তিনি ভারতে চলে যান। এরপর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করে আসছেন। দেশে বিভিন্নভাবে আন্দোলন চলমান ছিল কিন্তু কোনভাবে সফল হতে দিয়েছিল না অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আর হ্যাঁ যখন শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করেন এর কয়েকদিনের মধ্যে ক্ষমতা নেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এখানে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস। আর অন্যদিকে রয়েছে আরো অন্যান্য সহকারি উপদেষ্টা। যারা দেশের সকল কার্যক্রমের নিন্দন্ত্রণে নিয়োজিত রয়েছেন।

কয়েকদিন ধরে যে বিষয়টি জানা যাচ্ছে সেটি হচ্ছে ভারতে। অর্থাৎ আগরতলায় আওয়ামী লীগকে সমাবেশ করার জন্য অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। মূলত আগরতলা অবস্থান হচ্ছে ত্রিপুরার। ত্রিপুরার রাজধানী হচ্ছে এই আগরতলা। সেখানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমর্থকদেরকে সমাবেশ করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এমনটাই ছড়িয়ে গেছে চারদিকে। অন্যদিকে ভারতীয় থেকে কোন ধরনের এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

অর্থাৎ তারা এ বিষয়ে কোনো কথা বলেনি। বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে শুধু এ বিষয়টি ছড়িয়েছে। অর্থাৎ এ বিষয়টি শতভাগ সত্যতা তা এখনো যাচাই করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে এদেশের বিশেষ পদে নিয়োজিত ব্যক্তিরা বলেছেন মিত্র সম্পর্ক বজায় রাখতে হলে অবশ্যই তাদের এই আন্দোলন করতে দেওয়া যাবে না। কেননা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত স্বৈরাচারী শাসন চালিয়েছেন এবং নির্বিচারে মানুষজনের উপর ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন। তাই এ বিষয়ে অবশ্যই ভারতকে নজর দিতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আগরতলায় আওয়ামী লীগ সমাবেশ করতে পারবেন কিনা?

আপডেট সময় : ১২:৩২:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

রাজনৈতিক প্রাঙ্গনে এখন হাইপ চলছে যে বিষয়টি নিয়ে সেটি হচ্ছে আগরতলায় আওয়ামী লীগ সমাবেশ করতে পারবেন কিনা। আর এই কথাটি গুজব নাকি সত্য তা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্পর্কে। কেননা ইতিমধ্যে এই বিষয় নিয়ে প্রচুর পরিমাণে কথা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতে এবং বাংলাদেশ সহ ভারতে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের শক্তিশালী ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পতন ঘটে। মূলত কোটা সংস্করণ আন্দোলনের মাধ্যমেই এই সরকারের পতন হয়। কেননা এই আন্দোলন করতে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থী আহত নিহত হয়েছেন তাদের হাতে। সাধারণ মানুষের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আর কারণে তাদের দাবি চূড়ান্তভাবে রুপ নেয় এক দফা দাবি।

আর এই দাবিটি হচ্ছে শেখ হাসিনার পদত্যাগ। যদিও তাদের অসহযোগ আন্দোলন ছিল ৬ তারিখে অর্থাৎ ৬ আগস্ট। কিন্তু সেটি এগিয়ে এনে পাঁচ আগস্ট এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আর সেদিনই শুরু হয় লংমার্চ টু ঢাকা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোক আসতে শুরু করে সকাল থেকেই। ভিডিও এ সময় দেওয়া হয়েছিল কারফিউ। তবে সে বিষয়টি তোয়াক্কা না করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসতে শুরু করে। আর এর সময় ঢাকার মূল কেন্দ্রে তারা অবস্থান করেন।

এরপর জাতীয় সংসদ ভবনের দিকে এগিয়ে যায়। ঠিক দুপুরের দিকে শোনা যায় আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। সারা দেশ জুড়ে উচ্ছ্বাস পালন করা হয়। তার কয়েক দিনের পরে জানা যায় তিনি ভারতে অবস্থান করছেন।

আওয়ামী লীগ আগরতলায় সত্যিই কি সমাবেশ করতে পারবে?

এখন এই প্রশ্নটিই ঘুরপাক খাচ্ছে। তার পদত্যাগের পরে তিনি ভারতে চলে যান। এরপর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করে আসছেন। দেশে বিভিন্নভাবে আন্দোলন চলমান ছিল কিন্তু কোনভাবে সফল হতে দিয়েছিল না অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আর হ্যাঁ যখন শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করেন এর কয়েকদিনের মধ্যে ক্ষমতা নেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এখানে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস। আর অন্যদিকে রয়েছে আরো অন্যান্য সহকারি উপদেষ্টা। যারা দেশের সকল কার্যক্রমের নিন্দন্ত্রণে নিয়োজিত রয়েছেন।

কয়েকদিন ধরে যে বিষয়টি জানা যাচ্ছে সেটি হচ্ছে ভারতে। অর্থাৎ আগরতলায় আওয়ামী লীগকে সমাবেশ করার জন্য অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। মূলত আগরতলা অবস্থান হচ্ছে ত্রিপুরার। ত্রিপুরার রাজধানী হচ্ছে এই আগরতলা। সেখানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমর্থকদেরকে সমাবেশ করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এমনটাই ছড়িয়ে গেছে চারদিকে। অন্যদিকে ভারতীয় থেকে কোন ধরনের এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

অর্থাৎ তারা এ বিষয়ে কোনো কথা বলেনি। বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে শুধু এ বিষয়টি ছড়িয়েছে। অর্থাৎ এ বিষয়টি শতভাগ সত্যতা তা এখনো যাচাই করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে এদেশের বিশেষ পদে নিয়োজিত ব্যক্তিরা বলেছেন মিত্র সম্পর্ক বজায় রাখতে হলে অবশ্যই তাদের এই আন্দোলন করতে দেওয়া যাবে না। কেননা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত স্বৈরাচারী শাসন চালিয়েছেন এবং নির্বিচারে মানুষজনের উপর ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন। তাই এ বিষয়ে অবশ্যই ভারতকে নজর দিতে হবে।